ইন্টারনেট সার্চ দেখেই বুঝা যাবে মহামারীর অবস্থা  

বর্তমান ইন্টারনেটের যুগে কিছু হলেই আমরা ইন্টারনেটের দ্বারস্ত হই। শরীর অসুস্থ হলে বা দেহে কোনও উপসর্গ দেখা দিলেও মানুষের এই প্রবণতা কাজ করে। মানুষ ইন্টারনেটে সার্চ করে এর প্রকৃত কারণ জানার চেষ্টা করেন।

মানুষের এই প্রবণতা কাজে লাগিয়ে কোভিড-১৯ মহামারীর নতুন কোনও ঢেওয়ের সংবাদ আগাম পাওয়া যেতে পারে। এমনটাই দাবি করছেন নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটির গবেষকরা।

গবেষণায় বিজ্ঞানীরা দেখতে পেয়েছেন, আউটডোর এক্টিভিটি বা বাইরের কর্মজ্ঞ সম্পর্ক গুগল সার্চ বা ইন্টারনেট সার্চ যে সব অঞ্চলে বৃদ্ধি পেয়েছিল, ১৪ দিনের মধ্যে সে সব অঞ্চলে কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যদিকে যে সব অঞ্চলে ঘরে থাকার বিষয়ে সার্চ বেড়ে গিয়েছিল সে সব অঞ্চলে সংক্রমণ কমেছে।

গবেষণাপত্রের মূল লেখক, প্রফেসর আনেস বারি এ বিষয়ে বলেন, “আমাদের এই গবেষণায় দেখা গেছে মানুষের আচরণ শনাক্তকরণের মাধ্যমে পরবর্তী সংক্রমণবৃদ্ধি কোথায় হতে চলেছে তা আগে থেকেই জানা সম্ভব হবে।”

গবেষকগণ বলছেন, সংক্রমণ ছড়াতে পারে এমন সক্রিয়তা আগে থেকেই শনাক্ত করতে পারলে তা নীতিনির্ধারকদের প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণে সহায়তা করবে।

এই গবেষণায় সার্চের কিওয়ার্ডগুলি বিশ্লেষণ করে দুইটি মূল ক্যাটাগরি ব্যবহার করা হয়েছে। যার একটি হচ্ছে চলাচল (মোবিলিটি) অন্যটি বিচ্ছিন্নতা বা আইসোলেশন।

গবেষকরা বলছেন, ‘আমার কাছের থিয়েটার’, ‘বিমান টিকিট’ প্রভৃতি সার্চ দেখে তারা চলাচল শনাক্ত করেছেন। যখন কেউ কোনও জিমের বন্ধ হওয়ার সময় সার্চ করে তখন তা থেকে ধারণা করা সম্ভব তিনি জিমে যেতে চলেছেন বা ভবিষ্যতে তাতে যাবেন।

ধারণা করা হচ্ছে, এই প্রযুক্তিটি ব্যবহারের মধ্যদিয়ে ভবিষ্যতে যুক্তরাষ্ট্রের কোন অঞ্চলে কোভিড-১৯ সংক্রমণ বৃদ্ধি পেতে চলেছে তা নির্ধারণ করতে পারবেন গবেষকরা। এর মধ্য দিয়ে আগাম ব্যবস্থাগ্রহণ করাও সম্ভব হবে। একইসাথে ভবিষ্যতে এই জাতীয় প্রযুক্তি ব্যবহার করে নতুন কোনও মহামারী বা অজানা কোনও উপসর্গ দেখা দিলে তা শনাক্ত করাও সম্ভব হবে। তথ্যসূত্র: মেডিকেল নিউজ টুডে

 

টাইমস/এনজে/এসএন

Share this news on: